ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ‘ইউনিক’ পরিবহনের এক হেলপার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৫ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত হেলপারের নাম রাজু মিয়া (২৭)। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার নাগারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত জাফর শেখের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেটগামী ‘ইউনিক’ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-১৮৬১) এবং ঢাকাগামী ‘এনা’ পরিবহনের একটি বাস (ব-১৫-২২৭৫) মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের ফলে উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং যাত্রীদের মধ্যে হাহাকার ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ও সিলেট ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন:
নিলয় (১৮), মফিজুল ইসলাম (২৮), হৃদয় মিয়া (৩৫), সাকিব (২৪), আবু আনাস (২৪), বাবুল মিয়া (৩৬), নাঈম উদ্দিন (১৭), নাজমুল ইসলাম (২৫), রিয়াদ (২৬), সাজ্জাদ হোসেন (৫২), রাসেল (৩০), ইমা বেগম (৩০), আব্দুল মালেক (৪০), মহিউদ্দিন (৫০), আবিব হোসেন (৯), জাহাঙ্গীর (৪০), শাহারিয়া (২৩, বাসচালক), ফরিদা বেগম (৫০), ফয়সাল (৪৫), রুমানা বেগম, তাসমিন রুবায়েত (২৫), জাবেদ আহমদ (৪৮), শামসুজ্জামান (৪২), মৌ বেগম (২২) ও খালিজ মিয়া (৪৫)।
শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান:
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে উভয় বাস এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।”
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশি হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এই দুর্ঘটনা দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং চালকদের অসচেতনতার বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছে। বিশেষজ্ঞরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো ও কঠোর নজরদারির ওপর গুরুত্বারোপ করছেন।