ওসমানীনগর প্রতিনিধি::
ওসমানীনগরের লামা তাজপুর-সুরিকোনা-মাধবপুর সড়ক পাকা করণের দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে লামা তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে ওসমানীনগর উপজেলার লামাতাজপুর,সৈয়দপুর, ইসলামপুর, দক্ষিণ কালনীরচর, সুরিকোনা, টুকরা গাঁও, নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর গ্রামের লোকজন ও স্থানীয় স্কুল এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
লামা তাজপুর থেকে গালিমপুর পর্যন্ত প্রায় ৫কিলোমিটার সড়ক পাকা করণের সকল লক্ষ্যমাত্রা বিদ্যমান রয়েছে। সড়কের উচ্চতা, প্রস্থ সবই পাকা করণের জন্য যতেষ্ট। এ এলাকার স্কুল কলেজ মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বর্ষায় কাদা ঠেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকেন। এলাকার কোন বৃদ্ধ বা মহিলা অসুস্থ হলে সাধারণ মানুষকে সীমাহীণ কষ্ট পোহাতে হয়। তাই সড়কটি পাকাকরণ করা অতিব জরুরী।
মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সৌদী আরব প্রবাসী বিএনপি নেতা হাফেজ শাহ ফুজায়েল আহমদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সোনাহর আলী ছনর, ইউপি সদস্য মো. আকুল মিয়া, সমাজসেবক সৈয়দ হুমায়েল আহমদ, আফছর আহমদ, সৈয়দ হেলাল আহমদ, শিক্ষক জুনেদ আহমদ, সৈয়দ রাজু আহমদ, সৈয়দ লিফসন, সৈয়দ রাজু আহমদ সুজিম, সৈয়দ হেলাল আহমদ প্রমূখ।
নবীগঞ্জের দিঘলবাক ইউনিয়নের সদস্য মো. আকুল মিয়া বলেন, আমার ওয়ার্ডের গালিমপুর, মাধবপুর ও পশ্চিম মাধবপুরকে কুশিয়ারা নদী নবীগঞ্জের থেকে পৃথক করেছে। আমরা ওসমানীনগরের এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করি। এ সড়কটি পাকা করে দিলে আমাদের এলাকা উপকৃত হবে।
বিএনপি নেতা হাফেজ শাহ ফুজায়েল আহমদ বলেন, লামা তাজপুর- সুরিকোনা-গালিমপুর সসড়কটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সৈয়দপুর থেকে লামা তাজপুর হয়ে নবীগঞ্জের গালিমপুর এবং জগন্নাথপুরের আটঘর হয়ে সুনামগঞ্জ রানীগঞ্জ আউশকান্দি সড়কে মিলিত হয়েছে। মাঝে মধ্যে শেরপুর ব্রিজ অকেজো হলে সিলেট থেকে লোকজন ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়কটি পাকাকরণ হলে বিকল্প আরেকটি লিংক রোড হবে এবং সাদীপুরের নি¤œাঞ্চলের লোকজন ও নবীগঞ্জ এর মাধপুর গালিমপুর, জগন্নাথপুরের আটঘরের লোকজনসহ স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারবে। তাই আমরা সড়কটি পাকা করনের দাবী করছি।
ওসমানীনগর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় এই রাস্তাটি আমাদের নজরে রয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকা করণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলবো।